নার্স তানিয়া হত্যায় কাউন্টার মাস্টার রফিকুলেরও স্বীকারোক্তি
১৬ মে ২০১৯ ১১:৪১
কিশোরগঞ্জ: চলন্ত বাসে গণধর্ষনের পর নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন ওই পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম। জবানবন্দীতে তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যায় নিজের সমৃক্ততা স্বীকার করেছেন তিনি।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আল মামুনের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন স্বর্ণলতা পরিবহণের কটিয়াদি উপজেলার কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার জাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জবানবন্দী দেওয়া শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় মোট তিন আসামি তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিল।
আটদিনের বিমান্ড শেষে অন্য দুই আসামি খোকন মিয়া ও বকুলকেও বিচারকের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। খোকন মিয়া ও বকুল এর কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে সারোয়ার জাহান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, `মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুতই বাকি আসামিদের আটক করে অভিযোগপত্র দেওয়া সম্ভব হবে।’
কিশোরগঞ্জে বাসে গণধর্ষণ: ৫ আসামির ৮ দিন করে রিমান্ড
এর আগে একই আদালতে মঙ্গলবার অন্যতম অভিযুক্ত চালকের সহকারী লালন মিয়া ও বাস চালক নূরুজ্জামান নূরু গত ১১ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরা দুজনেই এখন কারাগারে রয়েছেন।
রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত ৬ মে বিকেলে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহণের একটি বাসে রওনা দেন। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মুমূর্ষু অবস্থঅয় তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তবে চিকি’সক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ ওঠে, বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌঁছার পর বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যরা তানিয়াকে ধর্ষন করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়েছে।
পরে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এসএমএন