একাদশে ভর্তি: ৫ দিনে সাড়ে ৮ লাখ শিক্ষার্থীর আবেদন
১৭ মে ২০১৯ ০৮:২৯
ঢাকা: একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হওয়ার প্রথম পাঁচ দিনেই প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে এই আবেদন করেছে ৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১১ জন শিক্ষার্থী। আর সব মিলিয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৫১১টি কলেজের জন্য।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ সারাবাংলাকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও আবেদনের সংখ্যায় এত তফাত। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবেদনও পড়েছে বেশি। এটা ভালো। আবেদনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হলে যাচাইয়ের জন্য সময় পাওয়া যায়।’
ঢাকা বোর্ডের এই কলেজ পরিদর্শক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫১১ জন অনলাইনে এবং ১ লাখ ৮৩ হাজার ১০৩ জন শিক্ষার্থী এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়েছে। এবছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছিল ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী।
এর আগে, গত রোববার (১২ মে) দুপুর ২টা থেকে অনলাইনে প্রথম ধাপের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হবে এ মাসের ২৩ তারিখ। এ পর্যায়ে আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুনই তাদের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে জুনের ২৫ তারিখ। ২৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে নির্দিষ্ট ভর্তি ফি পরিশোধ করে ভর্তি হতে হবে।
অনলাইনে সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য মোট ১২০ টাকা খরচ করতে হবে। ভর্তির জন্য কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের ভর্তি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য বিকাশ, শিওর ক্যাশের মাধ্যমে ১৯৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাইয়ের প্রথম দিনে আমরা একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করব। এখন আবেদন প্রক্রিয়া শেষে যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীদের কলেজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতারণার আশ্রয় না নেয়।
এদিকে, অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শিক্ষর্থীদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের পক্ষ থেকে ভুয়া আবেদন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভুয়া আবেদন করলে তাৎক্ষণিক সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
গত ৬ মে এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/টিএস/টিআর