এইচএসসির ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে শিক্ষা বোর্ডে বিক্ষোভ
২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:৩৫ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:৪৭
ঢাকা: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ফল তৈরি ও প্রকাশের দাবি জানিয়েছে অকৃতকার্য হওয়া কিছু শিক্ষার্থী। এ দাবিতে তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেছে। বোর্ডের প্রধান প্রবেশ গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তাদের হামলা হলে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। পরে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। অনেক অভিভাবকও তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা বোর্ডের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যানকে ঘিরে বিক্ষোভ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে তিন ছাত্রী ও তিন ছাত্র আহত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজাল্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তা বৈষম্যমূলক। তারা সবগুলো বিষয়ের ওপর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল চান। এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই সেই সাবজেক্ট ম্যাপিং করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সারাবাংলাকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাতিল হওয়া পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করা হয়েছে। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্ন আসে না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন জানিয়ে তপন কুমার বলেন, তাদের কথা বা দাবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আমরা অবগত করব।
এর আগে গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়। এতে কারও পাঁচ বিষয়, আবার কারও ছয় বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। সেগুলোতে এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলো খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর ও গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়।
গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
এইচএসসি এইচএসসি’র ফল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ