Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভিযোগ ওঠায় কলারোয়া ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত, তিনকর্মীকে বহিষ্কার


১৮ মে ২০১৯ ২২:২৭

সাতক্ষীরা: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ কর্মীকে।

শনিবার (১৮ মে) সারাবাংলাকে মুঠোফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল ইসলাম (রেজা)।

তিনি বলেন, ‘শনিবার দুপুরে ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম তুষারকে কোপানোর ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মী মন্টু, বাবু ও ইমামকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট আবেদনও জানানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ‍উঠে ছাত্রলীগ নেতা নাইস ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আহত ব্যবসায়ীর নাম জিএম তুষার। তিনি উপজেলার পাটুরিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে।

আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীর আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আহতের বাবা মুনসুর গাজী জানান, উপজেলার পাটুরিয়া গ্রামে ৩৩ শতক জমি নিয়ে জিএম তুষারের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল মন্টুদের। এরই জের ধরে দুপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাইসের নেতৃত্বে মন্টু, পলাশ, জুয়েলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীরা তুষারকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে তার ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেয় নাইস।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তুষারকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইস সারাবাংলাকে বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপুরে কলারোয়া বাজারে তুষার ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে উভয়ে পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় আমি তুষারকে আহত অবস্থায় দেখতে পাই।’

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাগর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুপুরে মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহত তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দয়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এসবি

কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর