‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা মনিটরিংয়ে সেল গঠনের আলোচনা চলছে’
১৯ মে ২০১৯ ১৪:২৯
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলো মনিটরিংয়ের জন্য পৃথক একটি মনিটরিং সেল গঠন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা অ্যাক্ট আইনটি করা হয়েছে সাইবার অপরাধ বন্ধের জন্য, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য নয়। তবে এই আইনে দায়ের হওয়া মামলা মনিটরিংয়ে শিগগিরই একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।
আরও পড়ুন- উচ্চ আদালতের বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিলেন আইনমন্ত্রী
রোববার (১৯ মে) দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা অ্যাক্ট নয়, বিশ্বের সব আইনই অপপ্রয়োগের সুযোগ আছে। এ জন্যই আদালত ও আইনজীবীরা আছেন। আর সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য এই আইন পাস করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইনটির আধুনিকীকরণও চলমান থাকবে।
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কবি হেনরী স্বপনের গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, মনিটরিংয়ে দেখা গেছে, তাদের মামলাগুলো এ ধারায় পড়ে না। তাই তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিচারাধীন মামলা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, চলমান মামলা নিয়ে রিপোর্টিং করা যাবে। কিন্তু ওই মামলা নিয়ে মতামত দেওয়াটা ঠিক না। তাহলে বিচারকরা বিব্রত বোধ করেন এবং পত্রিকাই ট্রাইব্যুনালে পরিণত হয়। সুপ্রিম কোর্টের নোটিশে এটাই বলা হয়েছে। তাই মামলা, রিপোর্টিং ও মতামত আলাদা থাকা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানবাধিকারের দিক থেকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য সম্ভাব্য সবকিছু আমরা করব।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
৫৭ ধারা আইনমন্ত্রী আইসিটি আইন ইমতিয়াজ মাহমুদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হেনরী স্বপন