নোয়াখালী: নোয়াখালীতে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে নাদীম শাহরিয়ার প্রিন্স নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র আহত হয়েছে। তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলা শহরের মাইজদী ডিসি দীঘির পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় ইফাজ ও অপূর্ব নামে দুইজনকে আটক করেছে।
প্রিন্সের বাড়ি জেলা শহরের উজ্জ্বলপুর গ্রামে। সে নোয়াখালী পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটে নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা মো. নুরুল হক একটি জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমের উপ বার্তা সম্পাদক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রিন্স সাংবাদিকদের জানায়, কিছুদিন আগে নোয়াখালী জিলা স্কুলের কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে বড় ভাই-ছোট ভাই বিষয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তার মামা আবুল কালাম আজাদ সুজন বিষয়টি সুরাহা করে দেন। রোববার দুপুরে প্রিন্স পৌরবাজারে যায়। সেখানে তার সহপাঠী ইফাজ তাকে মাইজদী ডিসি দীঘির পাশে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দীঘির পাশে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল আরও ১০/১৫জন। প্রিন্স কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা তাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে, তাদের মধ্য থেকে একজন ধারালো ছুরি দিয়ে প্রিন্সের মুখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে, স্থানীয় লোকজন ও তার এক বন্ধু তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় প্রিন্সের মামা আবুল কালাম আজাদ সুজন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ইফাজ ও অপূর্ব নামে দুইজনকে তাৎক্ষণিক আটক করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএমএন