অগ্রিম টিকিটের আশায় একদিন আগেই স্টেশনে ভিড়
২১ মে ২০১৯ ১৩:০৫
ঢাকা: রেলওয়ে ঘোষিত সময় অনুযায়ী ২২ মে থেকে দেওয়ার কথা অগ্রিম ঈদযাত্রার টিকিট। তবে একদিন আগে থেকেই রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিয়মিত ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ালেও বেশিরভাগই দাঁড়িয়েছেন অগ্রিম টিকিট যদি পেয়ে যান, সেই আশায়।
মঙ্গলবার (২১ মে) কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় অগ্রিম টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তাদের কেউ কেউ জানালেন, গতবছর ঈদের টিকিটের জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই জানানো হয়েছিল যে টিকিট শেষ।
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার একদিন আগে লাইনে দাঁড়িয়েছেন যাত্রীরা। যেন কোনোভাবেই কাউন্টার পর্যন্ত যাওয়ার আগেই টিকিট শেষ না হয়ে যায় সেই আশায়।
অনেক যাত্রীই আবার এসেছেন নিয়মিত টিকিটের খোঁজে। তবে যদি এই সুযোগে অগ্রিমটাও কেটে নিতে পারেন তাও মন্দ হয় না বলে সারাবাংলাকে জানালেন।
তবে যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভিড় করলেও লাভ হচ্ছে না। কারণ এখন পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি করতে শুরু করেনি কাউন্টারগুলো। কাউন্টারম্যানরা বলছেন, পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে না। এখন কেবল নিয়মিত ট্রেনের যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, যাত্রীদের যদি ভিড় বেশি হয় এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন তাহলে অগ্রিম টিকেট মঙ্গলবার বিকেল বা রাতের দিক থেকে দেওয়া শুরু হতেও পারে। তবে সেটা নিশ্চিত নয়। পুরোটাই নির্ভর করছে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর।
চট্টগ্রামের ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িছেন মো. সাইফুল্লাহ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুনছি ৩১ তারিখের টিকিট আজকে দেবে। কিন্তু এখানে এসে জানলাম কাল দেবে। আবার কেউ কেউ বলছে কাল দেওয়ার কথা থাকলেও আজকে দিতে পারে। কালকে আর লাইনে দাঁড়ানোর মত জায়গাও পাওয়া যাবে না। তাই চেষ্টা করতেছি যদি অগ্রিম পাই। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দেখি। না হয় চলে যাবো।’
আরেক যাত্রী রশিদুল হক জানান, জরুরি কাজে রাতে সিলেট যেতে হবে তাকে। সেই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন সকাল ৭টায়। সকাল সাড়ে ১০টার পরেও টিকিটের জন্য কাউন্টারের কাছে যেতে পারেননি এতো লম্বা লাইন। তিনি বলেন, ‘যে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি সেটাই পাইনি, অগ্রিম তো দূরের কথা। টিকিট দিচ্ছে ধীর গতিতে। তবে অগ্রিম ঈদ টিকিট যদি এ লাইনে দাঁড়িয়ে পাওয়ার সুযোগ পাই তাহলে আমার বাড়ি তো রাজশাহী সেখানকার একটা টিকিটও নিয়ে নেবো।’
অগ্রিম টিকিটের বিষয়ে জানতে কথা হয়, লাকসাম-চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিকিট কাউন্টারম্যান আব্দুর রউফের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনও অগ্রিম টিকিট দিচ্ছি না। নিয়মিত যাত্রীদেরকে টিকিট দিচ্ছি যারা আজ কিংবা কালকের যাত্রী। কারণ ঈদের অগ্রিম টিকিট শুরু হবে কাল থেকে। এখনও নিয়মিত যাত্রীদের টিকিট দেওয়ায় শেষ করতে পারিনি। ঈদের অগ্রিম টিকিট তো দূরের কথা। তবে নিয়মিত যাত্রীদের টিকিট দেওয়া শেষ হলে আর যদি আমাদের স্যাররা সিদ্ধান্ত নেন তাহলে হয়তো বিকেল বা রাত থেকেই অগ্রিম টিকিট দিতে পারি। তাও নিশ্চিত বলছি না।’
মঙ্গলবার থেকেই অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে কি না তা জানতে রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন