Tuesday 12 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুবশক্তিতে সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ দরকার


২১ মে ২০১৯ ১৬:৩৫

ঢাকা: বাজেটে তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকছে না। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের ঘাটতিও প্রকট। তাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে যুব শক্তিতে সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ প্রয়োজন। তা না হলে দেশ ও সমাজ একটি স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে, যা জাতীয় সংকটের মতো বিপর্যয়ও ডেকে আনতে পারে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কনফারেন্স রুমে ‘যুব জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ: বাজেটে প্রতিফলন কী?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অ্যাকশন এইড ও ইআরএফ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

বিআইডিএস এর সাবেক মহাপরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী বলেন, বাজেটে তরুণদের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য উন্নয়নসহ সব বিষয়ে শিশুদের মানসিক বিকাশে সুস্পষ্ট বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। শিশু ও যুব শক্তির উন্নয়ন বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অনেক শিশু পুষ্টিহীনতায় আছে। পুষ্টিহীনতায় থাকলে আমরা কর্মময় যুবশক্তি পাবো না। তা করতে না পারলে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। আমাদের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি তৈরি করতে হবে। আমাদের ইনফরমাল ইকোনোমিতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ যুবক কাজ করে। মাত্র ১০ শতাংশ ফরমাল ইকোনোমিতে কাজ করে।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বাজেটে তরুণদের মানসিক বিকাশের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। তরুণরা আস্থাহীনতায় ভোগেন। তাদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। যুবকদের উন্নয়নে বিভিন্ন সভা-সেমিনার হয়। কিন্তু আমরা এখনও কোনো কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করতে পারিনি। যেসব কর্মক্ষেত্রে নতুন বাজার রয়েছে, তরুণদের সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করা দরকার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে যুবকদের জন্য ‘উদ্ভাবনী ফান্ড’ গঠন করতে হবে। বাজেটে এর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। যুবকরা বহু নতুন নতুন আইডিয়া হাতে নেয়, কিন্তু অর্থের জন্য বাস্তবায়ন করতে পারেনা।

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, আমাদের মিড লেবেল ম্যানেজমেন্টে বিদেশীকর্মীদের পেছনে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। দক্ষ কর্মশক্তি গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। ন্যাশনাল ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল অব ইনিশিয়েটিভ গঠন করা হয়েছে। যুব শক্তির উন্নয়নে ২২ টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমাদের এখন প্রয়োজন সমন্বয়। কিশোর-কিশোরী ক্লাবের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশে কাজ করবে।

একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর তরুণদের অপর্যাপ্ত বাজেট ও সরকারি ব্যয় সম্পর্কিত নীতিমালার অভাব দীর্ঘমেয়াদী জনমিতির সুফল আদায়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হতে পারে এবং দেশের প্রথম জনমিতিক সুবিধাকে একটি দু:স্বপ্নে পরিণত করতে পারে। তাই, জনমিতির সুফল আদায়ে তরুণদের জন্য বাজেটে খাতসমূহ সুনির্দিষ্ট করা এবং তাদের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও নতুন দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে যুব বাজেট নিয়ে গবেষণাপত্রটি তুলে ধরেন ইংরেজী দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক ড. তাহমিনা আখতার, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

ইআরএফ বিনিয়োগ যুবশক্তি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর