স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ছাত্রলীগের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় প্রক্টর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঢাবির টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এর আগে তারা ক্যাম্পাসে ব্যাঙ্গাত্মক রঙিন চশমা মিছিল করেন।
ঢাবি চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সামান্তা শারমিন সারাবাংলাকে বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ফেসবুকে ইভেন্টের মাধ্যমে কুশপুত্তলিকা দাহ ও রঙিন চশমা মিছিলের আহ্বান করেন। তার ডাকে সারা দিয়ে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরাও এখানে যুক্ত হয়েছে।
এসময় তারা দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যর্থ প্রক্টর গোলাম রব্বানী। যিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অন্য এক শিক্ষককে ঘুষি মেরে পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলেন।
ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় ঢাবি প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে তারা বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির ১১ জনের মধ্যে ৮ জন শিক্ষকই নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে মানববন্ধন হয়েছে, সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই কমিটিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছিল।’

ছবি: হাবিবুর রহমান
এর আগে ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সারাদেশে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘট পালন করেন তারা। ধর্মঘট শেষে কুশপুত্তলিকা দাহের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আন্দোলনের শুরু হয় গত ১৫ জানুয়ারি, সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল চেয়ে ঢাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি দেয়। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে আন্দোলনে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে। পরে ওইদিন বিকেলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে দাবি না মানায় ২৩ জানুয়ারি নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে। সেখানে পুনরায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এসময় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে হামলার ছবি। এরপর ২৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ধর্মঘটে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন যায়গায় হামলা করে ছাত্রলীগ।
ছবি: হাবিবুর রহমান
সারাবাংলা/এসআর/এনএস