বরিশালের সন্ধ্যা নদীর বালু উত্তোলনে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
২২ মে ২০১৯ ১৫:৩৪
ঢাকা: বরিশালের সন্ধ্যা নদীর তলদেশ কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যাদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের স্মৃতি যাদুঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন ঠেকাতে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ কেনো দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২২ মে) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পাশাপাশি বালু উত্তোলনে ইজারা দেওয়াকে কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ভবিষ্যতে ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা না দিতে কেনো নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ভুমি সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকার ডেপুটি কমিশনারসহ ১১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, তাকে সহযোগীতা করেন অ্যাডভোকেট মুসাদ্দেক বিল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার সন্ধ্যানদীর বালু উত্তোলনে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বাড়ী, স্মৃতি যাদুঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পশ্চিম ভুতেরদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের মাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আদালত আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের স্মৃতি যাদুঘরসহ স্থাপনা রক্ষায় ১ নম্বর জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেকের আবেদনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
চলতি বছরে ১৫ এপ্রিল মেসার্স সততা ট্রেডার্স সন্ধ্যা নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি পায়। এরপর তারা নদী বালু উত্তোলন শুরু করে। এতে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের স্মৃতি যাদুঘরসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও ঘনবসতিপূর্ন এলাকা হুমকির মুখে পড়ে।
এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করেছে। গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম