Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়লো দ্বিগুণ, ব্যবসায়ীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া


২২ মে ২০১৯ ১৬:২৪

ঢাকা: কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। বুধবার (২২ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রেখে রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

একই সঙ্গে এ সকল পণ্যের উপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। ফলে, চাল আমদানির ক্ষেত্রে এখন ৫৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।

আগে চাল আমদানিতে ২৮ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। তা বাড়িয়ে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন এই সিদ্ধান্তে চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়লো প্রায় দ্বিগুণ।

এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে কৃষক উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে, প্রান্তিক কৃষক আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কৃষককে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষায় চালের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চাল ব্যবসায়ীরা। চাল আমদানি ও রফতানির সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম বাবু সারাবাংলাকে বলেন, চাল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর ফলে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হবো। ‘মারাত্মক’ অবস্থা হবে। অবশ্যই এর প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, রফতানি বাড়াতে আমদানি বন্ধ কোনো সমাধান নয় বলেও মন্তব্য এই চাল ব্যবসায়ীর।

জানতে চাইলে নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোধ চন্দ্র সাহা সারাবাংলাকে বলেন, এ বছর ভারত থেকে তেমন কোনো চাল আমদানি হয় নি। যা হয়েছে তা চিনিগুড়া চাল। কারণ দেশে এর উৎপাদন খুবই কম। এর আগে শুল্ক কমানোয় এর দাম ১০০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা কেজিতে নামে। ফের শুল্ক বাড়ানোয় অন্যান্য চালের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব না পড়লেও চিনিগুড়া চালের দাম আবারও বাড়বে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী সারাবাংলাকে বলেন, শুল্ক বাড়ানোয় আমরা খুব খুশি। এতে কৃষকের মুখেও হাসি ফুটবে। ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ থেকে ৪০ শুল্ক করার প্রস্তাব করেছিলাম আমরা, সেটা ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। এজন্য সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন। আশা করা যায় কৃষক এতে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন।

বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কাওসার আলম খান সারাবাংলাকে বলেন, সরকারকে এই সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন ছিল। শুল্ক বাড়ানো খুবই ভালো হয়েছে। কারণ চাল আমদানি নিস্প্রয়োজন। হয়তো চিনিগুড়ার দাম কিছুটা বাড়বে। নাজিরশাইল খালি খালি আমদানি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে শুল্ক বাড়ানোর এই উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

‘ধান নিয়ে আন্দোলন খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’

‘ধান নিয়ে কৃষকের সংকট জাতীয় বিপর্যয়’

চাল শুল্ক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর