অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ, ব্রাইট ফিউচারের এমডির বিরুদ্ধে মামলা
২৮ মে ২০১৯ ২০:৫৮
ঢাকা: রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মো. শরীফ উদ্দিনের আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন— পারভীন আক্তার (২৯), কাজী সামছুর রহমান (৪০) ও হারুন অর রশিদ (৪০)।
বাদীর অভিযোগ বলা হয়, ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামি রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে গাজীপুরে বাদীর ৩ কাঠা প্লট কেনার মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সোহেলকে বাদী ২৪ লাখ টাকা দেন। এর প্রায় ১ বছর পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেওয়ার লিখিত চুক্তি করেন। দুই বছর পরও সোহেল প্লট বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করলে বাদী তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর কয়েকটি সালিসি মামলা দায়ের করেন। এরপর এক সালিসে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ দেবেন বলে জানান এবং তার এক কর্মচারীর মাধ্যমে সাত লাখ টাকার ছয়টি চেক বাদীকে দেন।
আসামি বাদীকে চেক দেওয়ার পর বীমার চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আসামি হুমকি দেন। এরপর মামলায় তাকে আপসের প্রস্তাব দেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামি পারভীন আক্তার আপসের বিষয়ে বাদীকে বোঝান এবং বলেন, তাকে অন্য কোথাও প্লট দেবেন। এ বছরের ২৪ এপ্রিল আসামিদের সঙ্গে বাদীর মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপসের কথা না মানলে সোহেল তাকে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে বলেন, তাকে ‘সন্তুষ্ট’ করতে হবে। বাদী অন্তঃসত্ত্বা জানালেও পারভীনের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন সোহেল। বাদী দরজা খুলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে কাজী সামছুর রহমান ও হারুন অর রশিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবং শ্লীলতাহানি করেন। এরপর আসামিরা ভিকটিমকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
বাদী এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকেও মামলা নিতে অনাগ্রহ দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন বাদী। পরে তিনি আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/১০/৩০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর
অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণ গণধর্ষণ ধর্ষণ ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেড