Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেনাকাটার ধুম পুরান ঢাকায়


২ জুন ২০১৯ ০০:১১

ঢাকা: আর কয়েকদিন পরই ঈদ। এরইমধ্যে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ধুম চলছে। যারা এখনও রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে পারেননি তারা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার শপিংমলগুলোও জমে উঠেছে কেনাকাটায়।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইসলামপুর ও বঙ্গবাজার, গুলিস্তান সুপার মার্কেট, রাজধানী গার্মেটসহ শপিংমল-মার্কেট ঘুরে এমনটায় দৃশ্য দেখে গেছে। ক্রেতা চাহিদা পূরণে দেশীয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও চীন থেকে আনা কাপড়ে দোকান সাজিয়েছেন দোকানীরা। বৈচিত্র্যময় পণ্য ও সুলভ মূল্যের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাপড় কিনতে আসছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বাহারি রং বিভিন্ন কাপড়ের সমারোহ, কাপড়ের গুণগত মান ও সুলভ মূল্য হওয়ায় সব শ্রেণীর ক্রেতার কাছেও জনপ্রিয় পুরান ঢাকার ইসলামপুর, বঙ্গবাজার ও রাজধানীর অন্যান্য শপিংমল।

বিজ্ঞাপন

সারাবছরই এখানে থাকে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। ঈদ সামনে রেখে পাড়া মহল্লার হকারই শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে এ সব মার্কেট। দেশি-বিদেশি সব ধরনের কাপড়ের দেখা মিলবে মার্কেটগুলোয়। তবে ভারত ও চীনের কাপড়ের প্রাধান্য তুলনামূলক বেশি। মেয়েদের থ্রি পিস, শাড়ি, ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট ও পাঞ্জাবিসহ সবধরনের কাপড়ের সমারোহ থাকায় এখানে কেনাকাটায় অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

বঙ্গবাজারের চায়নিকা গার্মেন্টসের মালিক ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোজার শুরু থেকে বেচাবিক্রি ভালো ছিল। এখন একটু কমের দিকে। সকালের দিকে বেচাবিক্রি কম থাকলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে।’

বিজ্ঞাপন

ফারুক বলেন, ‘রমজান মাসে সকালে ৮ সাড়ে থেকে রাত ১২ পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হয়। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি আছে। এখন বেচাকেনা বাড়তে শুরু করেছে।’

পুরান ঢাকার ইসলামপুর বাজারে আলী গার্মেন্টস দোকানি ইব্রাহিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই বাজারগুলো পাইকারি-খুচরা সামগ্রীই বিক্রি হয় বেশি। তবে রোজার শেষের দিকে খুচরা পণ্য বিক্রি বেশি হচ্ছে।’

ওই দোকানি বলেন, ‘বেচাবিক্রি তুলনামূলক ভালোই ভালোই হয়েছে।’ তবে আরেক দল দোকানি অভিযোগ করে বলেন, ‘তাদের এবারে ঈদের খুব একটা ভালো বেচাবিক্রি হয়নি।’

এদিকে ঈদে পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে নতুন জুতায়। আর গত কয়েকবছরে দেশে এ বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। রাজধানীর অলিগলিতে এখন জুতা প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শো রুম দেখা যায়। আবার ঈদকে সামনে রেখে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।

পুরান ঢাকার বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ওইসব এলাকায় অ্যাপেক্স, বাটা, বে, ওয়াকার ব্র্যান্ডের জুতার দোকানে বেশ ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে স্বল্প আয়ের মানুষের চাহিদা মেটায় নন ব্র্যান্ড। ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে ছোট-বড় নন ব্র্যান্ডের দোকান রয়েছে। সে সবেও বিক্রি ভালো। অন্যদিকে হালে ঈদের কেনাকাটায় পোশাক-জুতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে স্মার্ট মোবাইল ফোন, আসবাবপত্র, স্বর্ণের গয়না, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল এমনকি গাড়ি। এছাড়া ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে মোবাইল কোম্পানিসহ অনেকেই দিচ্ছেন নানারকমের অফার।

গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকান থেকে জুতা কিনছেন সোহেল রানা। ওই বিক্রেতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফুটপাতের দোকানে নন ব্র্যান্ড হলেও ভালো জিনিস পাওয়া যায়। কাজের চাপ থাকায় অন্যদিন আসতে পারিনি। আজ ছুটির দিনে চলে এলাম।’

সারাবাংলা/একে/টিএস

ইসলামপুর ঈদ গুলিস্তান সুপার মার্কেট পুরান ঢাকা বঙ্গবাজার রাজধানী গার্মেট সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর