র্যাব-পুলিশ পরিচয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৩
৪ জুন ২০১৯ ২০:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: র্যাব-পুলিশের সদস্য পরিচয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ। চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত বিকাশ অ্যাকাউন্ট অচল হয়ে যাওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এসে তিনজন ধরা পড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ জুন) দুপুরে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। গ্রেফতার তিনজন হলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানা এলাকার মো. হান্নান (৪২), খোরশেদ আলম(৩৬) এবং মো. সোহাগ (২৮)।
ওসি নেজাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার তিনজনসহ আরও কয়েকজন মিলে একটি চাঁদাবাজ চক্র আছে। তারা নিজেদের কখনো পুলিশের সোর্স, কখনও গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব-কোস্টগার্ডের পরিচয় দিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিকাশে চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ও মহাসড়কে মাছবোঝাই ট্রাক তারা আটকে দেয় তল্লাশির নামে। মাছ পচনশীল হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বাজার বা গুদামে নিতে ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়।’
‘সম্প্রতি তাদের বিকাশ নম্বরের সিম ব্লক হয়ে যায়। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে তিনজন বাকলিয়া থানায় আসে জিডি করার জন্য। তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পেশার কথা জিজ্ঞাসা করা হয়। তারা নিজেদের কর্ণফুলী ফিশ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেয়। এতে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তখন সংগঠনটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে আমরা থানায় ডেকে আনি। তারা জানান, তিনজন তাদের সংগঠনের কেউ নয়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে।’
গ্রেফতার তিনজন জিজ্ঞাসাবাদে রমজান মাসেই শুধু পাঁচ লাখ টাকার বেশি চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ