শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা
৭ জুন ২০১৯ ১৯:১২
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষাতেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানরত ছাত্রনেতাদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আশা করছেন পদবঞ্চিতরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক উপ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের মা, আমাদের শেষ ভরসাস্থল। তিনি দেশে ফিরে অবশ্যই আমাদের কথা ভাববেন। আমাদের দাবিগুলো যাচাই করে দেখবেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়বে বিতর্কিত ছাত্রনেতারা। আমরা আপাতত সেই অপেক্ষায় রয়েছি।’
সজীব জানান, ঈদের দুই দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা তাদের খোঁজ নেয়নি। শেখ হাসিনা দেশে থাকলে তাদের সঙ্গে এতটা নির্দয় আচরণ করার সাহস কেউ পেত না বলেও মনে করেন তিনি।
ছাত্রলীগকে নিজের দ্বিতীয় পরিবার উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের এই শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা বলেন, ‘পারিবারিক এই বলয়কে আরো শক্তিশালী করতে হবে। আমরা একটি বিতর্কবিহীন ছাত্রলীগ চাই। আমরা চাই না আমাদের পরিবারের কোনো সদস্যদের দিকে বাইরের মানুষ আঙুল তুলে বাজে কথা বলুক। এজন্যই সংগঠনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। অবশ্যই বিতর্কিতদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে।’
ছাত্রলীগের বিগত কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-সম্পাদক আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নেত্রী দেশে এলে অবশ্যই আমাদের খোঁজ নেবেন। আমরা তার দিকে তাকিয়েই এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছি। এ বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য দেশরত্ম শেখ হাসিনাকেই আমাদের প্রয়োজন।’
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘বিতর্কিতরা বাদ পড়লে ছাত্রলীগ শক্তিশালী হবে। সেটি অনেকেই বুঝতে পারছেন না, তবে শেখ হাসিনা বুঝবেন নিশ্চিত। তিনি দেশে এলেই আমাদের দাবিগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলেই আশা রাখছি আমরা।’
দ্বিতীয় দফায় ১৩তম দিনের মতো রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা অন্যান্যরা হলেন- গত কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক নকিবুল ইসলাম সুমন, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু, স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ, কবি জসিমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানসহ আরও অনেকে।
ঈদের পরও পদবঞ্চিতদের খোঁজ নেয়নি ছাত্রলীগ
উল্লেখ্য, সম্মেলনের একবছর পর গত ১৩ মে গঠিত হয় ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। নবগঠিত এ কমিটি থেকে সর্বশেষ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ ও অবস্থানে থাকা অর্ধশত নেতা বাদ পড়েন ও প্রত্যাশিত পদবঞ্চিত হন। ফলে সেদিনই এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা।
সারাবাংলা/টিএস/এমও