‘যাত্রীর চাপ বাড়বে, শাহ আমানত বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ান’
৮ জুন ২০১৯ ২২:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেছেন, বিমানবন্দরের আশপাশ ঘিরে সরকারের যেসব মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, তাতে আগামীতে বিমানে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এই চাপ সামলাতে উন্নয়ন প্রকল্পের সমান্তরালে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোও জরুরি।
শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নাগরিক সংকট নিরসনে গঠিত সামাজিক সংগঠন ‘নাগরিক উদ্যোগ’র এক সভায় সুজন এসব কথা বলেন। নগরীর ফকিরহাটের মেট্রোপ্লাজায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে উন্নয়নের বিভিন্ন মহাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিমানবন্দরের অদূরে পতেঙ্গা থেকে আউটার সার্কুলার রোড নির্মাণের কাজ চলছে। বিমানবন্দরের পাশেই কর্ণফুলী নদীর তলদেশে চলছে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণকাজ। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্বাভাবিকভাবে শুধু পতেঙ্গাকে ঘিরেই তৈরি হবে একটি আধুনিক শহর।’
সুজন বলেন, ‘মহাপ্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিমাবন্দরের গুরুত্বও বেড়ে যাবে। বিমানে দেশি-বিদেশি যাত্রীর চাপ বাড়বে। এই চাপ সামলাতে হলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।’
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাঁচাতে কর্ণফুলী নদীর নাব্য বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে বাঁচাতে হবে। নদীর নাব্য ঠিক থাকলে বন্দর বাঁচবে। অতীতে আমরা দেখেছি, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের নামে বন্দরের কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। বর্তমানে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের যে কাজ চলছে, তাতে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যা ও ওষুধের সংকট দূর করার পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা।
নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠক হাজী মো. ইলিয়াছ, এস এম আবু তাহের, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান, আব্দুল আজিম, মোরশেদ আলম, নুরুল কবির, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, এজাহারুল হক, এ এস এম জাহিদ হোসেন, মো. শাহজাহান, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, মো. সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা এবং স্বরূপ দত্ত রাজু।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ শাহ আমানত বিমানবন্দর