Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃষি শুমারিতে তথ্য দিলেন রাষ্ট্রপতি


৯ জুন ২০১৯ ২২:০৬

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষির উপখাত সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহের জন্য শুরু হয়েছে ষষ্ঠ কৃষি শুমারি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ)। দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই শুমারির জন্য তথ্য দেন। একইসঙ্গে প্রথম খানা (পরিবার) হিসেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

রোববার (৯ জুন) আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে শুমারির উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত শুমারি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)।

বিজ্ঞাপন

কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনার মাধ্যমে দেশের কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরন, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, মৎস্য উৎপাদন ও চাষাবাদ সংক্রান্ত তথ্য এবং কৃষি খাতে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

শুমারির উদ্বোধনী র‌্যালিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, বিবিএস মহাপরিচারক কৃঞ্চা গায়েন এবং কৃষি শুমারির প্রকল্প পরিচালক মো. জাফর আহমেদ খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষের যেমন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন, তেমনি অর্থনীতির স্বাস্থ্য জানতে কৃষি শুমারিসহ অন্যান্য শুমারি পরিচালনা করা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, তিন মাসের মধ্যে শুমারির প্রাথমিক ফল এবং ছয় মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এই শুমারিতে কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়লে তা তুলে ধরার অনুরোধ জানান তিনি।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের জাতীয় জিডিপিতে কৃষির অবদান শতকরা ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এটা আগামীতে আরও বাড়বে। ধানের ক্ষেত্রে কমলেও মাছ, সবজি, ফলের ক্ষেত্রে অনেক বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি শুমারি ২০১৯ বাস্তবায়নের লক্ষে পল্লী এলাকায় গড়ে ২৪০টি, পৌরসভা এলাকায় গড়ে ৩০০টি এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় গড়ে ৩৫০টি খানা নিয়ে একটি গণনা এলাকা গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে কৃষি শুমারির তথ্য সংগ্রহে সমন্বয়কারী থাকবে। এরই মধ্যে সমন্বয়কারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

শুমারিতে একজন প্রধান শুমারি সমন্বয়কারী, একজন জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, একজন অতিরিক্ত জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১০ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ৯০ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি), ৪৯২ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি), ২ হাজার ১২৭ জন জোনাল অফিসার, ২৩ হাজার ১৬৫ জন সুপারভাইজার এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ২১১ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করছেন।

১৯৬০ সালে দেশে প্রথমবারের মতো নমুনা আকারে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭৭ সালে প্রথম কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ষষ্ঠবারের মতো দেশে কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

কৃষি শুমারি কৃষি শুমারির তথ্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর