ঢাকায় ফিরতেও ভোগান্তি, ভরসা লোকাল বাস
১০ জুন ২০১৯ ১৩:০৫
মেহেরপুর থেকে: ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া মানুষেরা রাজধানীতে নিজেদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদে বাড়ি যাওয়া যেমন ঝক্কি, তেমনি ফেরার সময়ও পোহাতে হয় প্রায় একই রকম দুর্ভোগ। যাওয়ার সময়ই যারা ফিরতি টিকিট কেটে রেখেছেন তারা ভালভাবে কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারলেও বাকিদের পরতে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
ফিরতি টিকিটের জন্য বাস কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও আশার খবর নেই। বাসের কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ২০ রোজার পর রাজধানীতে যাওয়া আসার টিকিট শেষ হয়ে গেছে। কেউ চাইলেও আর দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১৬ জুন থেকে স্বাভাবিক টিকিট পাওয়া যাবে।
এমন বাস্তবতায় কর্মক্ষেত্রে ফেরার জন্য একমাত্র ভরসা হিসেবে বেছে নিতে হচ্ছে লোকাল যানবাহনকে। কিন্ত এসবে মিলছেনা পর্যাপ্ত পরিমাণে সিট। তাই ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে টার্মিনালগুলোতে। শুধু তাই নই, এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাসের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে স্বাভাবিক ভাড়া ছিলো ১৫০ টাকা। সেই ভাড়াই এখন নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। অপরদিকে, কোচের জন্য ইচ্ছে মতো ভাড়া চেয়ে বসছেন হেলপার, সুপারভাইজাররা।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য কুষ্টিয়া টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় সবুজ মিয়া। তিনি সারাবাংলাকে জানান, ‘গোয়ালন্দ ঘাটে যাওয়ার জন্য সকাল ৯ দিকে টার্মিনালে এসেও বাস পাওয়া যায়নি। এসে শুনছি বাস নেই সব ছেড়ে গেছে, বাস ফিরলে উঠতে পারবো। এজন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করছি।’
মেহেরপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া মজমপুর গেটে অপেক্ষামান রাজিব হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফেরার জন্য অনেক বাসের কাউন্টার ঘুরেই টিকিট পাওয়া যায়নি। এজন্য হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে আছি যদি কোনো বাসে ওঠার সুযোগ পাই।
তিনি আরও বলেন, এখন সব জায়গায় ভিড় রয়েছে। যারা আগে টিকিট কেটেছেন তাদের কথা আলাদা। যারা টিকিট পাননি তাদের অনেক ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।
কুষ্টিয়া বাস টার্মিনালের এক কর্তৃপক্ষ নাম না প্রকাশ করতে ইচ্ছুক সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের সময় মানুষের তুলনায় গাড়ি কম থাকায় আমরা টিকিটের দাম একটু বেশি রাখি। এ কারণে যাত্রীদের রেখে আবার নিয়ে যাচ্ছে। বাস আসা মাত্র ছেড়ে যাচ্ছে। এইটুকু সময় যাত্রীদের কষ্ট করে অপেক্ষা করতেই হবে।’
সারাবাংলা/এআই/জেএএম