মোরেলগঞ্জে ২ আ.লীগ নেতা হত্যায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
১২ জুন ২০১৯ ২১:০৩
বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৮ মাস তদন্ত শেষে বুধবার (১২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট আমলি আদালতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিদর্শক ঠাকুর দাস মন্ডল এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ সময় মামলার বাদি মো. ফরিদ আহম্মেদ তার সঙ্গে ছিলেন।
গত বছরের ১ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলী দিহিদার (৫২) ও শুকুর শেখকে(৪০) বাড়ি থেকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ঠকুর দাশ মন্ডল বলেন, জোড়া হত্যার ঘটনায় থানা ও আদালতে আলাদা তিনটি মামলায় মোট ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তদন্তে কিছু বাদ পড়েছে, কয়েকজনের নাম যুক্ত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তে স্থানীয় ৫৪ জনসহ মোট ৮২ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে মোট ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার প্রধান অভিযুক্ত হচ্ছেন দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির (৫৫)। অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে পরিষদের পাঁচজন মেম্বার, একজন দফাদার, একজন চৌকিদারসহ একই দলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারাসহ ১৪টি ধারায় অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা আনছার আলী ও শুকুর শেখের হত্যা মিশনে সরাসরি অংশ নেয় ১৯ জন। যার নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকির। এ জোড়া হত্যাকাণ্ডে মোট ৫৮জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদি নিহত শুকুর শেখের ভাই ফারুক আহম্মেদ দাখিল করা অভিযোগপত্রে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার দিন (১ অক্টোর ২০১৮) থেকে তদন্ত চলাকালে পুলিশ এ মামলার আলামত হিসেবে একটি সিঙ্গেল শর্ট এলজি, ৬ চেম্বারের একটি রিভলবার, ১২ বোরের একটি শর্টগান, শরীর থেকে বের করা গুলির দুটি ধাতব পিলেট, ১২ বোরের ২ রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ, ১ রাউন্ড ৯ এমএম ক্যালিবারে ফায়ার্ড কার্তুজ, রক্তমাখা দাও, লাঠি, ছোরা, কুড়ালসহ অনেক আলামত জব্দ করেছে।
মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকিরসহ ২৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উচ্চ আদালত থেকে সাময়িক জামিনে আছেন একজন ও পলাতক রয়েছেন ৩১ জন।
মামলাটি তদন্তকালে জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম তদন্তে সহযোগীতা করেছেন বলেও তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান। ##
সারাবাংলা/এসএমএন