ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু
১২ জুন ২০১৯ ২২:০৮
ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুন এই সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় বিজিবি সদর দফতরে সম্মেলন শুরু হয় বলে বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসীন রেজা সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর, বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতর, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করছেন।
অন্যদিকে সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী রজনী কান্ত মিশ্রার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’ (BWWA) এর ০৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল বিজিবি পরিচালিত ‘সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি’ (সীপকস্) এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।
এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা ও সেনেগা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা ও আহত করা।
এছাড়া, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে মায়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রম বন্ধে যৌথ প্রচেষ্টা, মুহুরিরচর এলাকায় স্থায়ী সীমান্ত পিলার নির্মাণ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা অগ্রাধিকারে রয়েছে।
আগামী ১৫ জুন ২০১৯ তারিখ সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল ‘জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জিআরডি)’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে পারস্পরিক সুসম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ভারতীয় প্রতিনিধিদল দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবে এবং সম্মেলন শেষে আগামী ১৫ জুন ঢাকা ত্যাগ করবে।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএইচ