এবারও বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা
১৩ জুন ২০১৯ ১৬:০২
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই স্থির রাখা হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিনবার ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকল।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তিনি বাজেট বক্তৃতায় ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয় সীমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতার আয় বছরে আড়াই লাখ টাকা হলে তাকে আর আয়কর দিতে হবে না। কিন্তু আয় যদি এর উপরে হয় তাহলে ওই ব্যক্তির আয়কর দিতে হবে। এছাড়া নারী ও পয়ষট্টি বছর তদূর্দ্ধ করদাতার আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা স্থির রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এ পরিমাণ আয় হলে তাকে কর দিতে হবে না। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এর বাইরে গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার আয় সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা স্থির রয়েছে। অর্থাৎ বাজেটে করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা; ২০১২-১৩ তে ২ লাখ এবং ২০১৩-১৪ তে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়। এর পরে করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের আগে প্রায় প্রতিটি অর্থবছরের বাজেটেই এই সীমা বাড়ানো হয়।
গত ৩০ এপ্রিল এনবিআরের পরামর্শক কমিটির সভায় ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তাদের যৌক্তিকতায় বলা হয়েছিল, ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত গড়ে ৫ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি ছিল। ফলে করদাতাদের জীবনমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করদাতাদের ওপর করভার কমানো, দেশ থেকে মূলধন পাচারের প্রবণতা হ্রাস, সঠিক আয় প্রদর্শনে উৎসাহিত এবং নতুনদের করের আওতায় আসার আগ্রহ সৃষ্টি করতে করমুক্ত আয়ের সীমা পুননির্ধারণ করা দরকার। এসব দিক বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিল এফবিসিসিআই।
ব্যবসায়ীদের প্রায় সবকটি সংগঠন এ সংক্রান্ত দাবি জানালেও করমুক্ত আয়সীমা এবারও স্থির রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম