গ্রাম পর্যায়ে শহরের সুবিধা দিতে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ
১৩ জুন ২০১৯ ১৭:৩৩
ঢাকা: নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮ তে বর্ণিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণাটিকে ভিত্তি করে গ্রামের সকল বৈশিষ্ট্যকে বজায় রেখে গ্রাম পর্যায়ে সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী এই প্রস্তাব করেন।
অসুস্থ বোধ করছেন অর্থমন্ত্রী, বাজেট পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
আজ বিকেল ৩টার পর বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুর পর বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে বাজেট উপস্থাপনের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত বাজেটবক্তব্য শেষ করেন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেট এটি। গত ১১ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন (বাজেট অধিবেশন) শুরু হয়।
উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে জানোনো হয়, গ্রাম হবে শহর স্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার পল্লী উন্নয়নকে রেখেছে অগ্রাধিকার তালিকায়। নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮ তে বর্ণিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণাটিকে ভিত্তি করে গ্রামের সকল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে গ্রাম পর্যায়ে কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র ও ওয়ার্কশপ স্থাপন, উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, হালকা যন্ত্রপাতি তৈরি ও বাজারজাতকরণ ঋণ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
এছাড়া বলা হয়, পল্লী এলাকায় উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপন, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানসহ প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সকল সুবিধাদি প্রদান এবং নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগে নেওয়া হবে। এ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের জন্য আমারা প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থা করবো।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই