সরানো হলো ২ জাহাজ, বন্দর চ্যানেল উন্মুক্ত
১৪ জুন ২০১৯ ১৪:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ দু’টিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে দুই জাহাজের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের তিন ঘণ্টা পর বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্দরের জেটিতে জাহাজ প্রবেশ ও বন্দর ত্যাগ নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ২ জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ চলাচল বন্ধ
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনার অদূরে কর্ণফুলী নদীতে বন্দরে প্রবেশপথে পতেঙ্গা বোট ক্লাবের পেছনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনা কবলিত দু’টি জাহাজ হলো— কনটেইনারবাহী এক্সপ্রেস মহানন্দা ও ওয়েল ট্যাংকার এমটি বুরগান। জাহাজ দু’টিকে সরিয়ে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ করতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পাঁচটি টাগবোট।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দু’টি জাহাজের মধ্যে মহানন্দা এক্সপ্রেসকে টাগবোটের মাধ্যমে সরিয়ে ড্রাইডক জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুরগানকে ডলফিন জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিরাপদ ঘোষণার পরও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বন্দর চ্যানেল দিয়ে বহিঃনোঙ্গর থেকে কোনো জাহাজ জেটির দিকে যায়নি। বন্দর থেকেও কোনো জাহাজ গভীর সাগরের দিকে যায়নি।
দুর্ঘটনাকবলিত দু’টি জাহাজের মধ্যে এক্সপ্রেস মহানন্দা ৭৫০টি কনটেইনার নিয়ে বহিঃনোঙ্গর থেকে জেটিতে খালাসের জন্য যাচ্ছিল। আর কুয়েতের অয়েল ট্যাংকার বুরগান জ্বালানি তেল খালাস শেষে ফিরছিল গভীর সাগরে।
পতেঙ্গা বোট ক্লাবের পেছনে তৃতীয় একটি জাহাজকে রক্ষা করতে গিয়ে এ দু’টি জাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।
দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টাগবোটের লস্কর শামসুল আলম এসময় রশি ছিঁড়ে পড়ে আহত হয়েছেন।
বন্দর সচিব আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ফরিদুল আলমকে।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর