চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে গ্রেফতার পুলিশ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে আরও এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে। এই তথ্য পাওয়ার পর নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ সিদ্দিকুরের সঙ্গে মামলায় বাবলু খন্দকার নামে ওই উপ-পরিদর্শককেও আসামি করেছে।
সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ বাদি হয়ে শনিবার (১৫ জুন) নগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১), ১০ (গ)/৩৮/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে সিদ্দিকুরকে ১০ হাজার ইয়াবা ও ৮০ হাজার টাকা এবং মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার করে র্যাব ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সিদ্দিকুর রহমান নগর পুলিশের বন্দর জোনে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিদ্দিকুর রহমান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, রেলওয়ে থানার টিএসআই বাবলু খন্দকারের কাছ থেকে সিদ্দিকুর ১০ হাজার ইয়াবা সংগ্রহ করে। বাবলু খন্দকার একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেছিল। জব্দ করা ৮০ হাজার টাকা ইয়াবা বিক্রির মাধ্যমে সিদ্দিকুর পেয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।
সিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে এজাহারে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের চাকরির আড়ালে সিদ্দিকুর এবং বাবলু খন্দকার ও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন মিলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় মোটর সাইকেলে করে ইয়াবা দেওয়া-নেওয়া করত।
চট্টগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই রাছিব খানকে। রাছিব খান সারাবাংলাকে জানান, শনিবার দুপুরে সিদ্দিকুর রহমানকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন রোববার আদালতে দাখিল করা হবে।
এছাড়া ইয়াবা ব্যবসায় সিদ্দিকুরের সহযোগী বাবলু খন্দকার পালিয়ে গেছে জানিয়ে রাছিব বলেন, ‘বাবলুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও