প্রণোদনা প্রত্যাহার ও শুল্ক আরোপে পেঁয়াজের দাম বাড়ল
১৯ জুন ২০১৯ ০৮:২০
দিনাজপুর: ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে প্রণোদনা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ভারতের প্রণোদনা প্রত্যাহার ও বাংলাদেশের শুল্ক আরোপের প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে। এখন থেকে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হবে প্রতি কেজিতে ১ রুপি বেশি দিয়ে।
গত ১১ জুন ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে প্রণোদনা তুলে নেয়। আর বাংলাদেশ সরকার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে এ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই দুই কারণে এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করলে রফতানিকারকদের প্রণোদনা দিতো ভারত সরকার। যেমন ১শ টন পেঁয়াজ রফতানি করলে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো ১ লাখ রুপি। বর্তমানে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত সরকার। যে কারণে এখন পেঁয়াজ আমদানি করতে আমাদের প্রতি কেজি ১ রুপি বেশি দিয়ে কিনতে হবে। সেইসঙ্গে আমাদের সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় আমরা আরও বিপাকে পড়েছি। তাই বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ট্রাক পেঁয়াজ এই বন্দর থেকে কিনে দেশের বিভিন্ন বাজারে পাঠাই। বর্তমানে দেশের বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও বন্দরে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ে গেছি।’
হিলি শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক সারাবাংলাকে জানান, সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এরপর গত ১৫ ও ১৬ জুন এই বন্দর দিয়ে ১ হাজার ৬শ ৫৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২শ ৩১ টাকা।
সারাবাংলা/জেএএম/পিটিএম