স্মার্টফোনে বাড়তি করে রাজস্ব হারাবে সরকার, প্রত্যাহারের দাবি
১৯ জুন ২০১৯ ১৮:৫২
ঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোন আমদানির ওপর আরোপিত ২৭ শতাংশ বর্ধিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)। সংগঠনের নেতারা বলছেন, স্মার্টফোনে সরকার কর বাড়ালেও এর কারণে শেষ পর্যন্ত সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ব্যবসায়ীরা এ দাবি জানান।
বিএমবিএ সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোবাইল ফোন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক ও কর আরোপের ফলে দেশের বাজারে অর্থনীতিতে ক্ষতির প্রভাব পড়বে। জনগণ মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দেবে। এতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কমে যাবে। এতে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
কর বাড়ালেও এই খাত থেকে সরকার রাজস্ব হারাবে মন্তব্য করে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশে অবৈধ মোবাইল সেটের সংখ্যা তিন কোটি। একটি স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ৩ হাজার টাকা ধরলে শুধু এই অবৈধ মোবাইল সেটের কারণে সরকার প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। স্মার্টফোন আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে অবৈধভাবে স্মার্টফোন আমদানি আরও বেড়ে যাবে। এর ফলে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার হতে পারে। এতে সরকার বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
বাড়তি কর স্মার্টফোনের বাজারে অস্থিরতাও তৈরি করবে উল্লেখ করে নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, প্রস্তাবিত শুল্কের বর্ধিত হার কার্যকর হলে চোরাই পথে মোবাইল ফোন আমদানি বেড়ে যাবে। এতে বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মধ্যে পড়বে, হয়রানির শিকার হবে। ফলে বাজারে অস্থিরতা ছড়াবে।
জিটু আরও বলেন, মোবাইল শিল্পে দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। স্মার্টফোন আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৭ শতাংশ করা আরোপ করায় বাজার অস্থির হয়ে গেলে চাকরিচ্যুত হবে হাজারও মানুষ, অনিশ্চয়তায় পড়বে লাখ লাখ পরিবার। তাই স্মার্টফোন শিল্পে যুক্ত এসব মানুষ ও তাদের পরিবারের মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও এ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, স্মার্টফোন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ সাকলাইনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে স্মার্টফোনের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। স্মার্টফোন আমদানিতে এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক থাকলেও তিনি এটাকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর