যেসব দাবিতে আন্দোলন করছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ জুন ২০১৯ ০৯:৩৮
ঢাকা: চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ১৬টি দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। টানা পাঁচদিন ধরে তাদের দেওয়া ভিসি ও প্রশাসনবিরোধী শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় বুয়েট ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে, তার মধ্যে বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন, ডিজাইনের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা ও বিতর্কিত নতুন ডিএসডব্লিউকে (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব ডিএসডব্লিউ নিয়োগ দেওয়া অন্যতম।
শনিবার থেকে ফের বুয়েট শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন
এছাড়া, ছাত্রী হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ করা, ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লি দেওয়ার যে পদ্ধতি তা পুনর্বহাল রাখা, আবাসিক হলগুলোর অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা, সিয়াম-সাইফ সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপন, নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও নেম ভবনের কাজ শুরু করা, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু করা, বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনের ডিজিটালাইজেশন, নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ, কেন গাছ কাটা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেওয়া ও যতগুলো গাছ কাটা হয়েছে—উপাচার্যকে উপস্থিত থেকে তার দ্বিগুণ গাছ লাগানোর দাবিও করছেন আন্দোলনকারীরা।
একই সঙ্গে একাডেমিক বিষয়ে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি দেওয়া, ওয়াইফাই ও ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন, বুয়েট মাঠের উন্নয়ন ও পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালুর দাবিও রয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে আন্দোলনের মুখপাত্র হাসান সরোয়ার সৈকত বলেন, ‘বুয়েটকে পুরোপুরি নতুনভাবে সাজাতে যা যা করণীয় তার সবই আমাদের দাবিতে রয়েছে। এসব দাবি না মানার পক্ষে কোনো কারণ দেখি না। দেশের শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থেই দাবিগুলো মেনে নেওয়া জরুরি।’
উল্লেখ্য, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই ১৬ দফা দাবি আদায়ে গত শনিবার (১৫ জুন) থেকে আন্দোলন করছেন।
সারাবাংলা/টিএস/এমআই
আরও পড়ুন:
আজও বুয়েটে বিক্ষোভ, প্রশাসনিক ভবনে তালা
বুধবার ভিসির দেখা চায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা
১৬ দফা দাবিতে বুয়েট ভিসির কার্যালয়ে তালা