Thursday 05 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোয়া ২ কোটি শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হচ্ছে আজ


২২ জুন ২০১৯ ০৮:৪০ | আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ১২:৫৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন

ঢাকা: ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আজ শনিবার (২২ জুন)। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় সোয়া দুই কোটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সারাদেশে একযোগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন। এই ক্যাপসুল তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৩৩ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল  খাওয়ানো হবে। তবে জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

বিজ্ঞাপন

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অবহিতকরণ সভা আয়োজন করা হয়েছে, আয়োজিত হয়েছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পৌঁছে এই ক্যাম্পেইনের তথ্য পৌঁছে দিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মশালা।

ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশজুড়ে এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থাকবে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরি ঘাট, সেতুর টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশনসহ খেয়াঘাটগুলোতে। দুর্গম এলাকায় ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চার দিন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, লক্ষ রাখতে হবে, যেন একটি শিশুও এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে যায়।

১৯৭৪ সালে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরুর সময় দেশে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের রাতকানা রোগের হার ছিল তিন দশমিক ৭৬ শতাংশ। সেই কার্যক্রম অব্যাহত থাকার ফলে বর্তমানে ভিটামিন এ’র অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমেছে। এই পরিসংখ্যানকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের সফলতা বলে মনে করা হয়।

চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের কেবল রাতকানা রোগের হাত থেকেই বাঁচায় না, এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। একইসঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও শিশুমৃত্যুর হার কমায়।

সারাবাংলা/টিআর

টপ নিউজ ভিটামিন এ ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন রাতকানা রোগ