`মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত না নিলে কোম্পানিগুলোকে বর্জন করব’
২৪ জুন ২০১৯ ১৬:৪১
ঢাকা: বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মো. সাদিকুর রহমান বলেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানিগুলোর ফেরত নেওয়া কথা। কিন্তু সেগুলো তারা নিতে চায় না। তাদের সঙ্গে অনেক দেন-দরবার করে ওষুধ ফেরত দিতে হয়। ২ জুলাইয়ের ভেতর কোম্পানিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত না নিলে আমরা তাদের বর্জন করব।
সোমবার (২৪ জুন) পুরান ঢাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সঙ্গে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে সমিতির প্রায় ৮০০ সদস্য, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুর মোহামম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ওষুধ কোম্পানিগুলো আমাদের অসহযোগিতা করে। তারা আমাদের মূল্যায়ন করে না। তারা নিজেদের উচ্চমার্গীয় বলে দাবি করে। সরকার আইন করে দিয়েছে। আইনেই বলা আছে, তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিতে বাধ্য থাকবে।’
আরও পড়ুন: কোম্পানিগুলোই ধ্বংস করবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বৈঠকে সিদ্ধান্ত
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে ওষুধ শিল্প সমিতির প্রতিনিধিদেরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পক্ষে কোনো প্রতিনিধি এখানে উপস্থিত নেই। তাই মহাপরিচালকের মাধ্যমে তাদের প্রতি ঘোষণা দেওয়া হলো যে- ওষুধ ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি সমিতি বরদাস্ত করবে না, সরকার বরদাস্ত করবে না। ’
এর আগে রোববার (২৩ জুন) ঔষধ প্রসাশন অধিদফতর এক বৈঠক হয়। অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্বে বৈঠকে ওষুধ শিল্প সমিতি, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সভাপতি, বাংলাদেশে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি, ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সভাপতি ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ২ জুলাইয়ের ভেতর দেশের বাজারে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানিগুলো সংগ্রহ করবে। এরপর তারাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেগুলো ধ্বংস করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এদিন বৈঠক শেষে মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (বাপি) এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। আজই সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ জুন এক মাসের মধ্যে সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/জেএ/পিটিএম