চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চার জনের অবস্থার অবনতি হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই চার জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দায়িত্বরত সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ণ ধর সারাবাংলাকে বলেন, ‘ধোঁয়া ঢুকে অগ্নিদগ্ধ সবার শ্বাসনালী আক্রান্ত হয়েছে। তবে এই চার জনের শ্বাসনালী বেশি আক্রান্ত হয়েছে। সেজন্য তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আমরা মনে করছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে অভিভাবকদের। ঢাকায় পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা সার্বিক সহযোগিতা দেবো।’
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১৭
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চার জনের মধ্যে আবির নামে এক শিশুর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। কামাল নামে আরেকজনের শরীরও ২৫ শতাংশ পুড়েছে। এছাড়া জাহাঙ্গীরের ২০ শতাংশ ও ইদ্রিসের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
নারায়ণ ধর বলেন, ‘সব রোগীর শরীরই কমবেশি দগ্ধ হয়েছে। ১৫ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত পুড়েছে— এমন রোগী আছে। তবে যাদের শ্বাসনালী বেশি আক্রান্ত হয়েছে, তারাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।’
মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ডাকবাংলো মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভাষ্যমতে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিদেশফেরত যাত্রী নিয়ে একটি হায়েস মাইক্রোবাস যাচ্ছিল চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়ায়। পটিয়ার ডাকবাংলো মোড়ে মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে এর গ্যাস সিলিন্ডার ফুটো হয়ে যায়। এসময় মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি ইটের স্তূপে গিয়ে পড়লে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে।
দগ্ধ অবস্থায় ১৭ জনকে রাত পৌনে ১২টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে তিন শিশু ও বাকি সবাই বিভিন্ন বয়সী পুরুষ।
১৭ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ১৬ জনকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই