এলএনজি সরবরাহে সম্ভাব্যতা যাচাই চায় এনডব্লিউপিজিসিএল
২৬ জুন ২০১৯ ২২:৫৮
ঢাকা: পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন গ্যাসভিত্তিক ৩৬শ মেগাওয়াট ক্ষমতার সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে চায় নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল)। পায়রা সমুদ্রবন্দরের নাব্য বা গভীরতা কম থাকায় এলএনজি সরবরাহে বিকল্প উপায় বের করতেই এই সম্ভাব্যতা যাচাই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমতি চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে পায়রা মালিকানাধীন সরকারি কোম্পানি এনডব্লিউপিজিসিএল। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
এখানে উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর পায়রার ৩৬শ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্রটি সরকারি এনডব্লিউপিজিসিএলের সঙ্গে জার্মানির সিমেন্স যৌথভাবে নির্মাণ করছে।
এনডব্লিউপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, এই কেন্দ্রটি এলএনজিনির্ভর। আমদানি করা এলএনজি প্রথমে মাতারবাড়িতে অবস্থিত ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) স্থানান্তর করতে হবে। পরে এফএসআরইউ থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে। কিন্তু পায়রা বন্দরের গভীরতা কম হওয়ার কারণে সরাসরি এলএনজি বহনকারী জাহাজ এখানে ভিড়তে পারবে না। ফলে সরাসরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে বিকল্প উপায়ে এলএনজি সরবরাহ করতে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলএনজি সরবরাহের জন্য এনডব্লিউপিজিসিএল এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সার্ভে কোম্পানি ওরলি পারসন্সের (Worley Parsons) সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রাথমিকভাবে সার্ভে কোম্পানির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এলএনজি বহনকারী মাদার ভেসেল বা বড় জাহাজ থেকে ছোট ছোট জাহাজে স্থানান্তর করে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় নিতে হবে। এরপর সেখানে রি-গ্যাসিফিকেশনের কাজ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলএনজি সরবরাহ করতে হলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট স্থাপন করতে হবে। ওই কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমতি পেলে সার্ভে কোম্পানির প্রাথমিক প্রস্তাবনাসহ অন্যান্য বিকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে। এই কেন্দ্রের জন্য এলএনজি সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হবে। আর সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে বিপি সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড।
বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো এনডব্লিউপিজিসিএলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এলএনজিভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ ঝামেলামুক্ত করতে মাতারবাড়ি ১২শ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে আরও ১৫০ একর জমি দরকার। এই জমি পেলে নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কাজ করা যাবে।
জানা গেছে, যৌথ বিনিয়োগের এই কেন্দ্রটির ১২শ মেগাওয়াট উৎপাদনে আসবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসবে বাকি ২৪শ মেগাওয়াট।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর