প্রতিশোধ নিতেই কুট্টি হত্যা, স্বীকারোক্তি
২৭ জুন ২০১৯ ২১:৩৮
নারায়ণগঞ্জ: দুই বছর আগে একটি দোকান ভেঙে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতেই রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার কুট্টিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আসামি সাদ্দাম হোসেন দোষ স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া অন্যতম আসামি মো. সাদ্দাম হোসেনকে বৃহস্পতিবার ভোরে চনপাড়া বস্তি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।ি
আরও পড়ুন: কুট্টি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশ
পুলিশ সুপার জানান, দুই বছর আগে গ্রেফতার হওয়া সাদ্দাম হোসেনের সাথে ‘বাবুল স্টোর’ নামে একটি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে কুট্টি মেম্বারের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। যার ফলে সেই দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। সাদ্দাম বিনা কারণে কুট্টির লোকজনের মাধ্যমে দোকান ভেঙে দেওয়ার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলো।
তিনি আরও জানান, এলাকায় মাদক বিক্রি, আধিপত্য বিস্তারসহ অন্যান্য কারণে সাদ্দামসহ অন্যান্যরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজছিলো। সুযোগ পেয়ে সাদ্দামসহ আরও ৮/১০ জন মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কুট্টির স্বামীকে কারা হত্যা করেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে নিয়ে আরও কয়েকটি বিষয় তদন্তের আওতায় রয়েছে বলে জানান এসপি।
গত ২৬ জুন ভোরে প্রতিদিনের মতো ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার কুট্টি হাঁটতে বের হন। পথে একা পেয়ে সাদ্দামসহ আরও কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিউটি আক্তার কুট্টির ওপর চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে পারভীন আক্তার বুধবার রূপগঞ্জ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/এমএইচ