‘ডিসেম্বরের মধ্যে নিরাপদ পানি পাবে বস্তিবাসী’

সংসদ ভবন থেকে: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর বস্তিবাসীদের বৈধ ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, সবার জন্য নিরাপদ পানি— সরকারের এ ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, গত এক দশকে বর্তমান সরকার সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ভিশন ২০২১ অনুযায়ী পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে রাজধানীতে ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ উৎসের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে বৃহৎ তিনটি পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ৭০ ভাগ ভূ-উপরিস্থ পানি আর ৩০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করা হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রাজধানী ঢাকার সারফেস ড্রেন ও অগভীর নর্দমাগুলো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। রাজধানী ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই দুই সিটিতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। জলবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটিই ড্রেন পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কালশী ও মুসলিম বাজার খাল পরিষ্কার করা হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ ও নগর পর্যায়ে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ ও নগর অর্থনীতিতে গতিশীল করার লক্ষ্যে এলজিইডি কাজ করছে। পল্লি সেক্টরে এলজিইডির চলমান প্রকল্পর সংখ্যা ১০৯টি। এসব প্রকল্প থেকে নির্মিত গ্রামীণ অবকাঠামো, যেমন— সড়ক, সেতু, হাটবাজার ও উপজেলা-ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ইত্যাদি পল্লি অঞ্চলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতা করছে। এসব প্রকল্প থেকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সামাজিক নিরাপত্তা কমসূচির কার্যক্রমও চলমান এলজিইডি বাস্তবায়ন করছে।

সমবায়ী কৃষকের সংখ্যা সাড়ে ২১ লাখ

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সংসদে জানান, সমবায় অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৪৮৫ উপজেলায় সমবায়ী কৃষকের সংখ্যা ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯১ জন। সরকারের ধান-চাল-গম সংগ্রহ অভিযানে সমবায়ী কৃষকদের অগ্রাধিকার দিতে বিশেষ কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা আপাতত নেই। তবে সমবায়ী কৃষকদেরকে সিংগেল ডিজিটের সুদ হারে কৃষি ঋণ বিআরডিবি’র প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। কৃষকরা অপ্রধান শস্য উৎপাদনে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

তাজুল ইসলাম নিরাপদ পানি বস্তি স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম