নির্মাণ শেষ না হতেই সেতুতে ফাটল!
২৮ জুন ২০১৯ ০৭:২৩
লক্ষীপুর: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ওয়াপদা খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ফাটল ধরেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণ উপকরণ ব্যবহার না করার কারণেই এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, জুন ক্লোজিং শেষে সেতুটির ফাটল ধরা অংশটি সংস্কার করে দেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গত ২৪ জুন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসেন সেতুটি পরিদর্শন করতে গেলে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। পরে তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, গোড়ায় মাটি ভরাট করার সময় অতিরিক্ত চাপ পড়ে সেতুর পুর্ব পারের দুইটি উইন ওয়ালসহ সেতুতে ফাটল ধরে।
ওই পিআইও আশ্বস্ত করেন, অর্থবছর শেষে জুন ক্লোজিংয়ে বিল পাস করলেও কাজ না করা পর্যন্ত টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। তাতে সেতু মেরামতের কাজ বুঝে নেওয়া যাবে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, সেতু নির্মাণ কাজে দায়িত্বরত উপসহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ হয়। সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ার পরও পিআইও জুন ক্লোজিংয়ের অজুহাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ছাড় দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সেতু নির্মাণে মরা পাথর ব্যবহার, সিমেন্ট ও রড কম দেওয়ায় দুই পাশে মাটি ভরাট করতে গেলে সেতুর উইন ওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে।
সেতু নির্মাণের কাজ পাওয়া জাফ লং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজী মো. সেলিম জানান, মাটি ভরাট করার সময় সেতুর গোড়ায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা সংস্কার করে দেওয়া হবে। নিম্ন মানের কাজের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
পিআইও অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জুয়েল রানা বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের পর ঠিকাদার ফের কাজটি করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে গ্রামীণ সড়কে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য দাসপাড়া কুইয়ার বাড়ির সামনে ওয়াপদা খালের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় লক্ষীপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জাফ লং। চলতি মাসের মার্চ মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করে।
সারাবাংলা/জেএএম