পোল্ট্রির খাবার তৈরি কারখানায় অভিযান, ১৬ জনের কারাদণ্ড
২৯ জুন ২০১৯ ২০:২৪
ঢাকা: হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও বন্ধ হচ্ছে না চামড়া শিল্পের (ট্যানারি) বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি (হাঁস-মুরগি) ও পশুর খাবার তৈরি। তাই এগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। ডেমরার মাতুয়াইলে এমন কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি কারখানাগুলোকে সিলগালাও করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতুয়াইলের ডাম্পিং স্টেশন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৬ হাজার টন বিষাক্ত পোল্ট্রি খাবার জব্দ করা হয়। সেইসঙ্গে এসব কাজে জড়িত থাকার অপরাধে সংশ্লিষ্ট ১৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযান শেষে সারওয়ার আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও বন্ধ হচ্ছে না ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রির খাবার তৈরির কাজ। তাই এসব কারখানার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মাতুয়াইল এলাকায় অভিযান চালিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, এসব কারখানায় তৈরিকৃত পোল্ট্রি খাদ্য খুবই বিষাক্ত, যা হাঁস-মুরগির দেহের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়ায়। আর এসব বিষাক্ত খাবারের কারণে মানুষ ক্যান্সার, চর্মরোগসহ নানা প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়। তাই মানুষের জন্য অকল্যাণকর কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ২ এপ্রিল ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মাছ ও পোল্ট্রির খাবার তৈরির সকল কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে যারা ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে এসব খাবার তৈরি ও বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম