পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০ বসতি উচ্ছেদ
৩ জুলাই ২০১৯ ১৮:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বর্ষায় প্রাণহানি এড়াতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে ১৫ দিনের ‘ক্র্যাশ প্রোগাম’ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রথমদিনে রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি পাহাড় থেকে ৫০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের পেছনে রেলওয়ের পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দু’জন সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে রেলওয়ে, পরিবেশ অধিদফতর, পিডিবি, ওয়াসা এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের কর্মকর্তারাও উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।
জেলা প্রশাসনের কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রেলওয়ের একটি পাহাড়ে আমরা অভিযান চালিয়েছি। সেখানে পাহাড়ের পাদদেশে ৫০টি বসতঘর চিহ্নিত করে আমরা সেগুলো উচ্ছেদ করেছি এবং পরিবারগুলোকে সরিয়ে দিয়েছি। ৫০টি বসতঘরের মধ্যে ১০টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বাকি ৪০টি বসতঘর সম্প্রতি গড়ে তোলা হয়েছে। সেগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। টানা বৃষ্টি হলে পাহাড়ধসে বসতঘরগুলোতে বসবাসরতদের প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল।’
জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের জন্য নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালী হিল, পোড়া কলোনী পাহাড়, একে খান পাহাড়ে ৩৫০টি বসতঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপের উচ্ছেদ শেষে দ্বিতীয় ধাপে ১৪টি পাহাড়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর চিহ্নিত করে অভিযান শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ বসতি উচ্ছেদ শেষে পাহাড়টি রেলওয়ে এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর পাহাড়ে কোনো অবৈধ বসতি বা স্থাপনা গড়ে তোলা হলে সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের মালিক কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
এর আগে গত মে মাসে চট্টগ্রাম নগরীর ১৭টি পাহাড় থেকে চিহ্নিত ৮৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বুধবারের উচ্ছেদ অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সদর সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিয়া মোহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি ও পুলিশ উপস্থিত ছিল।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ