Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নুসরাত হত্যা মামলায় নৈশ প্রহরীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ


৪ জুলাই ২০১৯ ১৮:১২

ফেনী: ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মাদ্রাসার নৈশ প্রহরীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৭ জুলাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন কেরোসিন বিক্রেতা, বোরকা বিক্রেতা ও দোকানের কর্মচারীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন সকাল ১১টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মামলার আসামিদের ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় নৈশ প্রহরীর সাক্ষ্যগ্রহণ। বেলা ৩টায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু জানান, বৃহস্পতিবার নৈশ প্রহরীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। ৭ জুলাই পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন কেরোসিন বিক্রেতা জসিম উদ্দিন, বোরকা বিক্রেতা লিটন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর তাকে জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা, যা শেষ হয় রোববার (৩০ জুন)। পরে গত সোম ও মঙ্গলবার নুসরাত জাহান রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা ফূর্তির সাক্ষগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।

তারও আগে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের ছয়দিনের মাথায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীপক্ষের তিনজন সাক্ষীকে আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উপস্থাপন করা হয়। ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের এই আদেশ দেন আদালত। এ মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সাতজন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে যায়।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় অন্য পাঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে পিবিআই। আদালত তা অনুমোদন করেন।

এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাতের জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাইবার আইনে মামলা হওয়ার পর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

সারাবংলা/পিটিএম

নুসরাত হত্যা মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর