১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ-হয়রানি: আটক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২ মামলা
৫ জুলাই ২০১৯ ১৭:২১
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মাদরাসার ১২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক প্রধান শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা এবং অপর মামলাটি র্যাবের পক্ষ থেকে পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ফতুল্লা থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী শামশের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন মাদরাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষক শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে পর্নোগ্রাফি বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসামাজিক কাজে বাধ্য করতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ-হয়রানি: মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আটক
এই বারো শিক্ষার্থী ছাড়া আরও কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওই শিক্ষক যৌন হয়রানি করেছেন কিনা সে ব্যাপারে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে র্যাব জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মাহমুদপুর এলাকায় বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল আমিনকে এসব অভিযোগে আটক করা হয়। তাকে আটকের পর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত মাওলানা আল আমিন মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি নয়ামাটি এলাকায় একটি মসজিদে ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী শামশের জানান, গত ২৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তিনি ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। ওই পোস্ট দেখে দুইদিন আগে ফতুল্লার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার মা র্যাবের এক কর্মকর্তাকে ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আল আমিনের বিরুদ্ধে এসব তথ্য দেন।
সারাবাংলা/এমএইচ