গ্যাস অনুসন্ধানে স্থানীয় পরামর্শকদের যুক্ত করবে সরকার
৭ জুলাই ২০১৯ ২০:৪৫
ঢাকা: দেশের স্থলভাগ ও গভীর সমুদ্রের গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উন্নয়নে স্থানীয় পরামর্শকদের যুক্ত করবে সরকার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর জ্বলানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতিকালে গ্যাসের অনুসন্ধান ও উত্তোলন কাজ কমে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি দেখভালের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, প্রধানমন্ত্রী গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শকদের যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্যাস খাতে বিভিন্ন কাজে আমাদের বিশেষজ্ঞরা জড়িত হলে তাদের দক্ষতা অনেকগুণ বাড়বে। নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে পারবে। এক সময় আমাদের বিদেশ নির্ভরতাও কমে আসবে।’
বৈঠকে উপস্থিত জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শদাতারা যাতে জানতে পারে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে জড়িত কোম্পানিগুলোর জুনিয়র কর্মকর্তাদেরও এতে সম্পৃক্ত করা হবে। এতে করে বাংলাদেশের গ্যাস খাতে দক্ষ কারিগরি বিশেষজ্ঞ তৈরি হবে। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সরকার গ্যাসের চাহিদা মেটাতে নতুন করে অনুসন্ধান কাজ দ্রুত শুরু করতে চায়। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্সে অভিজ্ঞ বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নতুন অনুসন্ধানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভবনা যে সব স্থানে থাকবে সেখানেই শুধু কূপ খনন করা হবে। গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে কূপ খনন করা হবে না—বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উন্নয়নে রূপকথা-১ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। গত দুই বছরে এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি অনুসন্ধান কূপ খননের কথা থাকলেও মাত্র একটি কূপ খনন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুবছর বাড়িয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এইচএ/এমআই