স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন খালেদা
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:২৬
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে।
নয়াপল্টন কার্যালয়ে রোববার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়া সোমবার সকাল ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন খালেদা জিয়া। সেখানে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করবেন তিনি— জানান রিজভী।
‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সকাল ৮টায় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) –এর মাজার জিয়ারত করবেন। জিয়ারত শেষে আমি যতটুকু কনফার্ম— তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসবেন’
বিএনপির চেয়ারপারসন কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন কিনা?— জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নাহ, উনি কেবল জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সিলেট যাচ্ছেন।’
নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছেন কিনা?— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন প্রায়ই যান। হযরত শাহজালাল (রহ.) এ দেশের একজন শ্রেষ্ঠ সুফি-সাধাক। তার মাজার জিয়ারত— এটা সকল মানুষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু বিএনপির চেয়ারপারসন একজন ধর্ম পরায়ন মানুষ। তিনি মাজার জিয়ারতের জন্যই সিলেট যাচ্ছেন।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সরকার দুরন্ত গতিতে বেপরোয়া গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে আকস্মিক ঝাঁপটা মেরে আটক করছে পলিশ। গতকাল লা মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা চলাকালে ও সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পর রাস্তা থেকে প্রায় ৩৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এবং গতকাল সভা শেষে ফেরার সময় ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত পাঁচ দিনে ঢাকাসহ সারদেশে প্রায় ৫০০’র অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।’
‘গণগ্রেফতার নয়, সন্ত্রাসী ধরা হচ্ছে। পুলিশের প্রতি মানুষের ভালবাসা বাড়ছে’— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্য প্রসঙ্গ রিজভী বিলেন, ‘দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ছাত্র, যুবক ও মহিলাসহ বিএনপি ও বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে ধরার জন্য চিরুনী অভিযান, আটক ও বাসায় বাসায় হামলার পরও ভালবাসা বাড়ছে ?’
‘সরকারের অঙ্গ সংগঠনের ভূমিকা পালন করেছে বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের প্রতি মানুষের ভালবাসার কথা বলছেন। বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ওপর নির্যাতন তো দৈনন্দিন ঘটনা, একটি অরাজনৈতিক ও দেশের স্বার্থের পক্ষে সংগঠন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মিছিলে পুলিশের হামলায় অধ্যাপক আনু মোহাম্মদের পা ভেঙ্গে দেয়াসহ তাদের অসংখ্য বরেণ্য ব্যক্তিকে মারাত্মক আহত করা হয়, সেটিও কেউ ভুলে যায়নি’— বলেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
সারাবাংলা/এজেড