জামিনে মুক্ত সাবেক এমপি রানা
৯ জুলাই ২০১৯ ১৭:২১
টাঙ্গাইল: যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন টাঙ্গাইলের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। দুই মামলায় তিনি ৩৪ মাস কারাভোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান। টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগের কাগজপত্র হাতে আসার পরে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ জুন রানার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
হাই কোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১ জুলাই পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত করেন। পরবর্তীতে এমপি রানাকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় হাই কোর্ট তাকে জামিন দিয়েছিলেন।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির ৩০২/১২০/৩৪ ধারায় এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় গত ১ এপ্রিল আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন ১৭ জুলাই শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরণ মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন এমপি আমানুর রহমান খান রানার দিক-নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
সারাবাংলা/এমএইচ
আরও পড়ুন
এমপি রানার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
সাবেক এমপি রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
এমপি রানার জামিন স্থগিত