কলকাতায় বাংলাদেশী বইয়ের ভারসাম্য থাকা উচিৎ: সংস্কৃতিমন্ত্রী
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:২০
কলকাতা থেকে
বাংলাদেশে কলকাতার লেখকদের বই পাওয়া গেলেও কলকাতায় বাংলাদেশী লেখকদের বই পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
৪২তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ দিবস’-এর সেমনিারে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত এসবিআই অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশের সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিত্বে দেশ ভাগ হলেও বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তার বিরোধীতা করা হয়।
এ ছাড়া মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘ছিটমহল সমস্যা মিটেছে, গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তিও হয়ছে, তা হলে তিস্তাসহ অন্য বকেয়া সমস্যা গুলিরও সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক বেশ ভালো। তাই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে পশ্চীমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি দেখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ নেই, ভুল হলে অন্ধকারের শক্তি সেই সুযোগ নেবে।
যদিও তিস্তা সম্পর্কে এ দিন কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিষয়টি জাতীয় ও মুখ্যমন্ত্রীর এক্তিয়ারের বিষয়, তাই এ বিষয়ে বলার মত এক্তিয়ার তার নেই।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ এমপি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খান।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বুক সেলার্স অ্যান্ড গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম।
সেমিনার শেষে বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী অদিতি মহসিনসহ অন্যান্য শিল্পিরা।
এবারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে নির্মিত হয়েছে ‘বাংলাদেশ প্রাভিলিয়ন’। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ও সুপরিচিত আহসান মঞ্জিললের আদলে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৪২টি স্টল রয়েছে বই মেলাতে।
গত ৩০ জানুয়ারি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা।
সারাবাংলা/এসপি/এমআই