Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল চেয়ে নোটিশ


১৪ জুলাই ২০১৯ ২২:০৭

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধানকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে বিধানটি বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিধান বাতিল না করলে হাইকোর্টে মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবসহ পাঁচজনকে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেনের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার তৌফিুকুর রহমান।

নোটিশে বলা হয়, নোটিশ প্রেরণকারী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর। গণতন্ত্র চর্চা এবং তার সংসদীয় এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা বর্ণিত আছে।

কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এর ১২(২)(৩এ)(এ) ধারায় উল্লেখিত ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহের বিধান স্বতন্ত্র প্রার্থিতার ক্ষেত্রে বড় বাধা। এটি সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। আরপিওর ১২(২)(৩এ)(এ) ধারার হস্তক্ষেপে জনগণের অধিকার খর্ব হচ্ছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ ধরনের বিধান নেই। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও বিধানটির প্রয়োগ হয় না।

নোটিশে বলা হয়, এক এগারোর সেনা নিয়ন্ত্রিত অগণতান্ত্রিক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে বিধানটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল আরপিওতে। উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। ভোটাররা গোপন কক্ষে ভোট দেন। এতে প্রতিনিধি নির্বাচনে তাদের সুরক্ষার পাশাপাশি গোপনীয়তা বজায় থাকে। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটার যখন স্বাক্ষর করেন এতে তাদের গোপনীয়তা প্রকাশ হয়ে পড়ে, যা তাদের জন্য ঝঁকিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে এটি ভোট কেনার সুযোগ করে দেয় যা দুর্নীতিতে প্ররোচিত করতে পারে। এ বিধানের কারণে রাজনৈতিক দলগুলো স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। এতে মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগও তৈরি হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এসব বিবেচনায় সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক আরপিওর ১২(২)(৩এ)(এ) বিধানটি ৩ মাসের মধ্যে বাতিলের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমও

স্বতন্ত্র প্রার্থী হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর