Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শবে বরাতের রাতে ৬ ছাত্র হত্যা: তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত


১৫ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪২

ঢাকা: সাভারের আমিন বাজারে শবে বরাতের রাতে ছয় কলেজ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল হকের পরবর্তী জেরা আগামী ২৩ জুলাই দিন ধার্য করেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। তবে এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ না হওয়ায় ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বিচারক কামরুন্নাহার অবশিষ্ট জেরার জন্য নতুন করে তারিখ ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারের বড়দেশি গ্রামের কেবলার চরে ঘুরতে যায় সাত বন্ধু। ওই সময় ডাকাত সাজিয়ে তাদের ছয় জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাদের মধ্যে থাকা একজন অল্পের জন্য বেঁচে যায়। ওই ঘটনায় গ্রামবাসীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।

নিহত ছয় ছাত্র হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব ও বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।

তাদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। এছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরে ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতিও দেওয়া হয়।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশে মারধর করে জখম করে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে সবাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেয় এবং থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়।

হত্যা মামলার মোট আসামি ৬০ জন। তাদের মধ্যে নয় জন পলাতক, একজন মারা গেছেন আর বাকি ৫০ জন জামিনে আছে। এদের মধ্যে ওয়াসিম নামে এক আসামি জামিনে থাকলেও অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে চার্জশিটভুক্ত সব আসামি জামিনে রয়েছেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা ডাকাত

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর