চট্টগ্রামে সমাবেশ ডেকে পুলিশের অনুমতির অপেক্ষায় বিএনপি
১৮ জুলাই ২০১৯ ১৪:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। তবে সমাবেশের জন্য এখনো পুলিশের অনুমতি পায়নি দলটি। যেহেতু এর আগে বরিশালে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই চট্টগ্রামের ব্যাপারেও আশাবাদী বিএনপি নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
শাহাদাত বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতিহিংসা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করছে। আমরা আমাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাবো। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সফল করতে সহযোগিতা করবে।’
নগরীর লালদিঘীর পাড়ের জেলা পরিষদ চত্বর অথবা কাজির দেউড়ির নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহাদাত।
‘লালদিঘীর মাঠে বন বিভাগের বৃক্ষমেলা চলছে। সেজন্য সেখানে আমরা সমাবেশ করতে পারছি না। বাকি যে দু’টি ভেন্যু আমরা নির্ধারণ করেছি, সেগুলো আমাদের লোক সমাগমের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তারপরও আমরা সেগুলো নির্ধারণ করেছি এবং আশা করছি পুলিশ আমাদের অনুমতি দেবে।’ বলেন শাহাদাত
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘আমরা গত ৪ জুলাই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছি। কয়েকদিন আগে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগমের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু তারা এখনো আমাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি জানায়নি। আশা করছি, আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে পুলিশ আমাদের অনুমতি দেবে।’
পুলিশের বাধায় সমাবেশের প্রচার চালাতে না পারার অভিযোগও করেছেন বিএনপি নেতা বক্কর।
যদি পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দেয়, এমন আশঙ্কার জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বরিশালে সমাবেশ হচ্ছে। যেহেতু বরিশালে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ, আশা করি আমরাও পাব।’
অনুমতি পেলে অতীতের মতো সুশৃঙ্খলভাবে সমাবেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন শাহাদাত।
নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা ও চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, শ্রমিক দল নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপি নেতা ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইদ্রিস আলীও ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম