ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, আজ ( রোববার) থেকে পক্ষকাল ব্যাপী (১৫ দিন) বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করা হলো। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ডিএসসিসি এলাকার প্রায় ২৫ হাজার বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা হবে।
রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কাঁঠালবাগানে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিশেষ এ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘৫৭টি ওয়ার্ডে আমাদের পরিদর্শক টিম, পরিচ্ছনতা টিম ও স্বাস্থ্য টিমের প্রতিনিধিরা যাবেন। যে বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সে বাসায় গিয়ে আমাদের প্রতিনিধিরা লার্ভা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি কীভাবে এডিস মশার বংশ ধ্বংস করতে হয় নাগরিকদের সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন প্রশিক্ষণ দেবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ হাজার ৭১০টি বাসায় এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। সেই হিসেবে এই ১৫ দিনে ২৫ হাজার বাসাবাড়িতে এডিস মশার বংশ ধ্বংস করা হবে।’
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘এডিস মশা যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। এডিস মশার প্রাদুর্ভাব যেন না বাড়ে সে জন্য নিজে সচেতন হোন অন্যকেও সচেতন করুন। সকলের প্রচেষ্টা থাকলে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে আমরা ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দিতে পারব।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে আমাদের ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৪৫০ স্থানে কাজ করে ২ হাজার ১৫৭ জন নাগরিকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। এরপরও কোথাও ডেঙ্গুর অস্তিত্ব পেলে ডিএসসিসি’র হটলাইনে ফোন দিলে আমাদের কর্মীরা মশার বংশ ধ্বংস করে দিয়ে আসবে।’
এরপর ডিএসসিসির মেয়র কাঁঠালবাগান এলাকার দুটি বাসায় গিয়ে নিজেই এডিস মশার বংশ ধ্বংস করেন। এ সময় ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংস্থাটির কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসএইচ/একে
আরও পড়ুন: স্কয়ারে ডাক্তারের ‘অবহেলায়’ ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু!
‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’
হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, অধিকাংশই ‘প্যাটার্ন ৩’
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় শহরমুখী রোগী
ডেঙ্গু জ্বরে চিকিৎসকের মায়ের মৃত্যু
ঢামেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫ ডেঙ্গু রোগী, নেই আলাদা বেড