ঢাকা-সিলেট ৪ লেন প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এডিবি
২১ জুলাই ২০১৯ ২৩:২১
ঢাকা: অর্থায়ন জটিলতায় দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। অবেশেষে এডিবি এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বছরের শেষ দিকে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার রয়েছে। এজন্য শিগগিরিই এডিবি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এরপর প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে একনেক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।
রোববার (২১ জুলাই) মেট্রোরেলের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিলেট চারলেন প্রকল্পে এডিবির অর্থায়নের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘এটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এডিবি চারলেন কাজে অর্থায়ন করবে।’
সওজ জানায়, ২০১৭ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প আকার পায়। মাঝখানে এটি থেমে গিয়েছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়ে আছে। ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব নজরুল ইসলাম, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। গত কয়েকমাস ইআরডি বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এখন জাতীয় এ মহাসড়কটিতে এডিবি অর্থায়ন করবে।
সওজ সূত্র জানায়, এডিবি ও সওজ এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তারপর ডিপিপি তৈরি করে একনেক অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে পরিকল্পনা কমিশনে। এসব প্রক্রিয়া শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগবে। এরপরই শুরু হবে সড়কের কাজ।
চারলেনের পাশাপাশি পাশে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য দুটি সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের আকার হবে সড়কটির। সওজ জানায়, ঢাকার কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে চারলেনে উন্নীত করা হবে এ প্রকল্পে। এই চারলেনের দুইপাশে আলাদা সার্ভিস লেন থাকবে। যেখানে ‘স্লোমুভিং’ যানবাহন চলাচল করবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার দাবি বেশ পুরোনো। সিলেটে গিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও সরকারের গেল দুই মেয়াদে কাজ শুরু করতে পারেনি সড়ক বিভাগ। অর্থায়ন জটিলতায় ঝুলে ছিল এক বছর। সিলেটসহ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রধান দাবি এই মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করা।
২২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সোয়া চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৭০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও থাকবে চার হাজার ৩৫৮ মিটার দীর্ঘ চারটি ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারগুলো ভৈরব, সিলেটের গোয়ালাবাজার, তাজপুর ও দয়াময়ী বাজার এলাকায় নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নরসিংদী, ভৈরব, ওলিপুর, লস্করপুর ও সিলেটে নির্মাণ করা হবে রেল ওভারপাস।
মহাসড়কটি হবে এশিয়ান হাইওয়ে-১ এবং এশিয়ান হাইওয়ে-২-এর অংশ।
সারাবাংলা/এসএ/পিটিএম