বিমানের দুই কর্মকর্তার ৭ বছরের কারাদণ্ড, ২৫ লাখ টাকা জরিমানা
২২ জুলাই ২০১৯ ১৮:৫২
ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ বিমান এয়ার লাইনস লিমিটেডের দুই কর্মকর্তার ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একইসঙ্গে আরেক আসামিকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জুলাই) বিকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর আসামি পলাতক রয়েছে। ভুয়া বিল ভাউচার প্রস্তুত করে অর্থ পরিশোধ দেখিয়ে ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছিল দণ্ডপ্রাপ্তরা।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস লিমিটেডের বেতন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জিন্নাহ, ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এম এ রব, বেতন শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক মো. হারুন অর রশিদ ও ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার সাবেক হিসাব তত্ত্বাবধায়ক মীর আবু সাঈদ তাইফুদ্দিন চৌধুরী।
আসামিদের মধ্যে মোহাম্মদ জিন্নাহ ও হারুন অর রশিদ ও মীর আবু সাঈদ চৌধুরীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও একবছর করে কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়া আসামি এম এ রবকে ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকেও আরও একবছর কারাগারে থাকতে হবে। মামলার অপর আসামি হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর তিন আসামি এদিন আদালতে উপস্থিত ছিল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশে ২০০১ সালের জুলাই হতে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত ভ্রমণ শেষে টিএ/ডিএ বিল উত্তোলনের পর একই ভ্রমণের অনুমতিপত্র ফটোকপি করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কার্বন কপিতে কাটাকাটি করে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এভাবে আসামিরা একাধিক ভুয়া/জাল পরিশোধ ভাউচার প্রস্তুতপূর্বক ১৬৬ টি জাল/ভুয়া পরিশোধ ভাউচারের মাধ্যমে ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১ টাকা আত্মসাৎ করে।
ওই ঘটনায় ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ক্যাশ এন্ড ব্যাংকিং শাখার সাবেক অ্যাকাউন্টস অফিসার মীর ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ জনের বিরুদ্ধে করে একই কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে আসামি মীর আজিজুর রহমান ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর মারা যান।
সারাবাংলা/এআই/এমও