ইয়াবা বিক্রি: রেল পুলিশের টিএসআই রিমান্ডে
২৩ জুলাই ২০১৯ ২২:১৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কাঁঠালের ভেতরে করে ইয়াবা ঢাকায় পাচারের সময় গ্রেফতার হওয়া রেল পুলিশের টাউন সাব ইন্সপেক্টর (টিএসআই) বাবলু খন্দকারকে চট্টগ্রামের একটি মামলায় দুইদিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী সংস্থা চট্টগ্রামের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম খায়রুল আমীন এই আদেশ দিয়েছেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো.কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কামরুজ্জামান জানান, বাবলু খন্দকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আদালত দুইদিন মঞ্জুর করেছেন।
বাবলু খন্দকার নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন মাইগ্রামে এলাকার মৃত খালেক খন্দকারের ছেলে। তিনি রেলওয়ে পুলিশের টাউন সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ জুলাই দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবলু ও তার স্ত্রী শিউলি খন্দকারকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) সদস্যরা। তাদের সাথে থাকা একটি কাঁঠাল ভেঙে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত ১৪ জুন নগরীর ডবলমুরিং থানার সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে র্যাব-৭ ও সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের যৌথ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা ও ৮০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুর রহমান নামে আরেক টিএসআইকে।
গ্রেফতারের পর সিদ্দিকুরের জবানিতে টিএসআই বাবলু খন্দকারের নাম প্রকাশ হলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই সঞ্জয় গুহ টিএসআই সিদ্দিকুর রহমান, বাবলু খন্দকার ও অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। রেলওয়ে পুলিশ থেকে বরখাস্ত হওয়া বাবলু পালিয়ে আত্মগোপন করে। পরে গ্রেফতার হয় র্যাবের হাতে।
র্যাবের মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ