বগুড়ার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বাড়ছে বাঙ্গালি নদীর পানি
২৪ জুলাই ২০১৯ ১১:২০
বগুড়া: বগুড়ায় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাঙ্গালি নদীর পানি এখনও বাড়ছে। ফলে এখনও পানিবন্দী হয়ে আছে বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বাঙ্গালি নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাঙ্গালি নদীর পানি বাড়ায় সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও শেরপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি যমুনার চরের মানুষের মতোই ভোগান্তিতে পড়েছে বাঙ্গালি নদীর দুই পাড়ের মানুষ। এখন পর্যন্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ফলে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসেবে এই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবার। বানভাসী মানুষের আশ্রয়স্থলগুলোতে ল্যাট্রিনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট রোধে উঁচু স্থানে ৪৪টি নলকূপ বসানো হয়েছে।
এদিকে, সোনাতলায় যমুনার নদীর পানি কমলেও বাঙ্গালি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। উপজেলার পৌরসভা, সদর, মধুপুর, তেকানীচুকাইনগর, পাকুল্লা, জোড়গাছা ও বালুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়াও ফসলের মাঠ পাট, আউশ ধান, বীজতলা, শাকসবজি ও মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, শেরপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ধুনট উপজেলার বাঙ্গালি নদীর দুধারে আবাদী জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনা খাবার, চাল ও অন্যান্য খরচের জন্য নগদ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপশি বিশুদ্ধ পানির জন্য উঁচু স্থানে নলকূপ বসানো হয়েছে।
সারাবাংলা/ওএম